রেজাউল করিম জীবনঃ দেশের উত্তরাঞ্চলে নতুন করে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। মাঘ মাসের প্রথম দিন শুক্রবার থেকে এ তীব্রতা বেড়েই চলছে। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। ‘মাঘের জারে (ঠাণ্ডায়) বাঘ কান্দে’—রংপুর অঞ্চলের এই প্রবাদের প্রতিফলন ঘটতে শুরু করেছে এরই মধ্যে। রাতে রংপুর চিড়িয়াখানা থেকে থেমে থেমে বাঘের চিৎকার শোনা যায়। এদিকে বিশেষ করে শ্রমজীবীসহ নদীপারের মানুষ পড়েছে চরম দুর্ভোগে। প্রচণ্ড শীতের কারণে বাড়ি থেকে বের হতে না পারায় ক্ষেতমজুররা পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর দিন কাটাচ্ছে। শীতের দাপটে হাট-বাজার, রাস্তাঘাট ফাঁকা থাকায় যেন স্তব্ধতা নেমে এসেছে গোটা অঞ্চলে। সরেজমিন আজ (রোববার) ১৭ জানুয়ারি সকালে রংপুরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, শৈত্যপ্রবাহে জনজীবন অচল হয়ে পড়েছে। একই সঙ্গে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে জনপদ। শীতের কবল থেকে বাঁচার জন্য গ্রামাঞ্চলে লোকজন খড়কুটো জ্বালিয়ে উষ্ণতা বাড়ানোর চেষ্টা করছে। রংপুরে শনিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ আর্দ্রতা কাছাকাছি আসায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। মৃদু এই শৈত্যপ্রবাহ কমপক্ষে আরো দু-তিন দিন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
রংপুরের সিভিল সার্জন ডা. হিরম্ব কুমার জানান, শীত বাড়ায় কোল্ড ডায়রিয়া আর নিউমানিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। এ অবস্থায় সকালে ও সন্ধ্যার পর শিশু-বৃদ্ধদের ঘরের বাইরে বের হতে না দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।